ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ নানা রোগে এখন আক্রান্ত হচ্ছে সব বয়সী মানুষ। শিশুরা তো আরও ঝুঁকিতে। মশারি ব্যবহার করলে মশার এই অত্যাচার থেকে নিজে যেমন বাঁচতে পারবেন, তেমনি বাঁচাতে পারবেন আপনার সন্তানকেও। তাই ব্যাঘাতহীন ঘুমের জন্য মশারি ব্যবহার উত্তম এবং নিরাপদও। বাজারে শিশুদের জন্য আছে বাহারি মশারি। এসব মশারি যেমন শিশুকে নিরাপদ রাখবে, তেমনি রঙিন মশারি ঘরে যোগ করবে বাড়তি সৌন্দর্য।


নিজ ঘরে মশা থেকে বাঁচার সবচেয়ে সস্তা, দীর্ঘস্থায়ী, কার্যকর এবং নিরাপদ ‍উপায়টির নাম মশারি। কয়েল বা ওষুধে মশা না–ও মরতে পারে, তবে চারদিক গুঁজে নিয়ে এবং ভেতরে মশা নেই, সেটা নিশ্চিত করে মশারির ভেতর ঢুকে বসে থাকলে মশা যে কামড়াতে পারবে না, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। 


ছোট শিশুদের জন্য আলাদা মশারি বেশ জরুরি। কারণ, শিশুরা একটু আগে ঘুমিয়ে পড়ে। আর তখন বড় মশারি টানিয়ে রাখা বেশ ঝামেলার। আর না টানালে মশার উৎপাতে আপনার সোনামণি আরামে ঘুমাতে পারবে না। তা ছাড়া ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ায় শিশুদের দিনের বেলায় ঘুম পাড়ালেও মশারি টানানো জরুরি। এ ক্ষেত্রে শিশুদের জন্য ছোট মশারি ব্যবহারই সুবিধাজনক। আর এখন বাজারে শিশুদের জন্য বাহারি সব মশারিও পাওয়া যায়। এর মধ্যে কোনোটি চেইন দিয়ে তৈরি ঘরের মতো। একে স্প্রিং মশারি বলে। কোনোটি আবার লোহার দণ্ডের সঙ্গে নেট প্যাঁচানো। কোনোটি আবার ছাতার মতো খোলা যায়। কিছু আবার আছে বিছানাসহকারে তৈরি বেড সেটিং মশারি।


আপনি চাইলে মশারি রেডিমেড কিনতে পারেন আবার বানিয়েও নিতে পারেন। তবে রেডিমেডের চেয়ে বানানো মশারিই বেশি টেকসই। অবশ্য এ জন্য খরচাপাতিও একটু বেশি গুনতে হবে। সাধারণত মশারির নেট কাপড় এবং সাইজের ওপর নির্ভর করে এর দরদামের পার্থক্য। মশারির কাপড়ের মধ্যে এসি নেট এবং জিরো সেভেন বেশ ভালো মানের কাপড়।